জয় হোসেন, ছোট বেলা থেকেই নিজ চিন্তা ভাবনাগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে আসছেন। তার কাজকে বেগবান করতে আরেকটি অন্যতম প্রধান কারণ হলো ইন্টারনেটের প্রসার। ইন্টারনেটের প্রসারের কারণেই মূলত জয় তার চিন্তাভাবনাগুলোকে খুব সহজেই পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নিজের ভাবনাগুলোকে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে সমাজসেবার মতো মহান কাজে অগ্রসর হয়েছেন এই তরুণ জয়। ঠাঁই পেয়েছেন হাজারো মানুষের মনের মনি কোঠায়। শুধু সমাজসেবাই নয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও একইভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন দুর্যোগে দরিদ্র, অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদান তার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য। তিনি ইতিপূর্বে তার উপজেলা মির্জাপুরের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং তা অব্যাহত রেখেছেন।
২০১৩ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার ছাত্ররাজনীতে পথচলা। এরপর তিনি জামুর্কী ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য, জামুর্কী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মির্জাপুর সরকারি কলেজের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি উচ্চ ডিগ্রি লাভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক সিটি কলেজে অধ্যয়নরত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণেও প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজের অস্বচ্ছল, খেটে খাওয়া দিনমজুর, অসহায় মানুষদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে থাকেন। দেশের উন্নয়নের জন্যও নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন এই উদীয়মান ছাত্রনেতা।
এ ব্যাপারে জয় হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নেতা হতে আসিনি, জনগণের ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আমি মনে করি, মানব সেবাই বড় ধর্ম। ছোট্ট এ জীবনে সর্বদা সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে যেনো তাদের সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি এই লক্ষ্য নিয়েই আমার পথ চলা। দেশ ও জনগণের জন্য কিছু করতে পারাও ভাগ্যের ব্যাপার বলে আমি মনে করি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এভাবেই মানুষের পাশে থেকে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। পরিশেষে তার ও পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সবার নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন এবং তিনি দেশবাসীর জন্য দোয়া করেন।
প্রসঙ্গত, জয় হোসেন টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের পাকুল্যা গ্রামের জহিরুল হোসেনের ছেলে।